Thursday, May 27, 2021

ইউসিসি'র সংবিধান

 ইউসিসি’র সংবিধান  PDF 




বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম







সংবিধান

(স্মারকলিপি/গঠনতন্ত্র)


Youth Unity Coordinating Council. YUCC

 





                            রচনা

                মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া

                                     

                        সম্পাদনা

                   ড. মুহাম্মদ ইউনুস             

                       রমিজ উদ্দিন     

                                  

                                    

                       ইলাস্ট্রেশন

                মুহাম্মদ শিহাব আরফান

                  কাইসার মিয়া বাপ্পি

                       সায়েদ হাসান 

 

 

                সার্বিক সহযোগীতায়

                                               

 মুহাম্মদ আবু তারেক          দেলোয়ার হোসেন 

                       




Youth Unity Coordinating Council.YUCC

কক্সবাজার সদর 

কক্সবাজার-৪৭০০,বাংলাদেশ

Website: www.yuccorg.blogspot.com


কর্তৃক প্রকাশিত


[প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত]


প্রকাশকাল

প্রথম প্রকাশ:    মে, ২০২১ ইং


সার্বিক তত্ত্বাবধান : YUCC কর্তৃপক্ষ




সূচিপত্র

ধারা বিষয়বস্তু / শিরোনাম

ধারাঃ-১ নামকরণ

ধারাঃ-২ কার্যালয় ও কর্ম এলাকা

ধারাঃ-৩ মনোগ্রাম/লগো

ধারাঃ-৪ সংগঠনের ধরণ

ধারাঃ-৫ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ধারাঃ-৬ সদস্য

ধারাঃ-৭ সদস্য পদ বাতিল / স্থগিতের নিয়মাবলী

ধারাঃ-৮ সাংগঠনিক কাঠামো

ধারাঃ-৯ কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব,কার্যাবলী এবং যোগ্যতা

ধারাঃ-১০ আর্থিক ব্যবস্থাপনা

ধারাঃ-১১ বর্ষ গননা

ধারাঃ-১২ সংবিধান / গঠনতন্ত্র সংশোধন

ধারাঃ-১৩ সংগঠনের আয়

ধারাঃ-১৪ সাধারণ সভার কার্যক্রম

ধারাঃ-১৫ সভার নিয়মাবলী

ধারাঃ-১৬ হিসাব সংরক্ষণ, নিরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রতিবেদন 

ধারাঃ-১৭ অনুষ্ঠানাদি

ধারাঃ-১৮ বিবিধ

ধারাঃ-১৯ সদস্যদের নাম ,পদবী, ও সম্মতি প্রদানের স্বাক্ষর

ধারাঃ-২০ সদস্য পরিচিতি




ধারাঃ-১

নামকরণ

এই সংগঠন ‘যুব একতা সমন্বয় পরিষদ’- ইংরেজীতে ‘Youth Coordinating Council (YUCC)’নামে অভিহিত হবে। বার্তা -" দক্ষ যুব গড়বে দেশ, আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ "।

ধারাঃ-২

কার্যালয় 

সংগঠনের প্রধান কার্যালয়: সিকদার মহলের বিপরীত পার্শ্বে, জয়নাল ভবন-৩য় তলা, প্রধান সড়ক, কক্সবাজার সদর। পোস্ট কোড- ৪৭০০।

কর্ম এলাকা:

প্রাথমিক পর্যায়ে সংগঠনের কর্ম এলাকা হবে খুরুশকুল, ভারুয়াখালী,পিএম খালী ও চৌফলদন্ডী   ইউনিয়নসহ কক্সবাজার সদর উপজেলার কিছু অঞ্চল। 

ধারাঃ-৩

মনোগ্রাম/লগো

সংগঠনের নিজস্ব মনোগ্রাম/লগো আছে।



 

ধারাঃ-৪

সংগঠনের ধরণ

YUCC সংগঠন  সম্পূর্ণ স্বাধীন,সামাজিক,অরাজনৈতিক,সেচছাসেবী ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন সংগঠন। সংগঠন বর্হিভূত কোন ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।


ধারাঃ- ৫

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

মহান আল্লাহ পাকের সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী পবিত্র আল কুরআনকে মূল সংবিধান হিসেবে গ্রহন করে যাবতীয় সকল কর্মকান্ডে অনুসরন করা এবং ইসলামিক জীবন বিধানকে সমস্ত মানবজাতির জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করা ।

যাকাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূরীকরণ করা এবং নামাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবিক অনিশ্চিয়তা দূর করা।

প্রধানত সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।


গরীব, অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করা।

সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হল যুবক- যুবতীদের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করা এবং প্রতিমাসে কমপক্ষে ৩-৪ বার হলেও যুবক- যবতীদের ক্যারিয়ার, জীবন দক্ষতার প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ক  প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

সাহিত্য,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিনোদন ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত,দুর্ভিক্ষ, মহামারী ও ভূমিকম্প ও অন্যান্য আকস্মিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সহযোগিতা করা।

দুস্থ, অসহায়,এতিমদের সাহায্য প্রদান সর্বাত্মক তাদের পাশে এগিয়ে যাওয়া । 

দেশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণকে বিশেষত তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে।

চিকিৎসা কার্যক্রমঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়য়ের অনুমোদনক্রমে গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য হাসপাতাল ক্লিনিক স্থাপন করে চিকিৎসা প্রদান করা এবং কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনে প্রতিবছর অবৈতনিক ডাক্তার নিয়োগ করে গরীব ও অসহায় ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ শীর্ষক কর্মশালার ব্যবস্থা করা। 

আইসিটি মোবাইল ভ্যানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও কোর্সের সনদপত্র বিতরণ।

Communicative English Language Learning – প্রশিক্ষণ প্রদান।

ক্ষুদ্র ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ। 

নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা” বিষয়ক প্রশিক্ষণ।

দুর্যোগ ও যুবসেবা বিষয়ক প্রশিক্ষণ। 

যুব কর্ম ও যুবদের ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ। 

যুব নেতৃত্ব বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 

প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মহিলা উন্নয়ন বিষয়ে কার্যক্রম চালু করে সামাজিক জীবন-যাপনে মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা।

পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম চালু করা।

জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে গণশিক্ষা কার্যকর চালু করা।

প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জীবনমুখী কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে শিল্পকলা বিষয়ক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব, পাঠাগার এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও জাতীয় দিবস সমূহ পালনের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা করা।

যুব সমাজকে অসামাজিক কার্যক্রম যেমন মদ, গাজা ,হিরোইনসহ যে কোন মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে পতিরোধ গড়ে তোলা ।

পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষার্থে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

দক্ষ যুব গড়ছে দেশ , আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে সংগঠনের তথা যুব উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।

 

ধারাঃ-৬

সদস্য

সংগঠনের মোট সদস্য সংখ্যা হবে ৪৫ (পয়তাল্লিশ) জন।

কেবল মাত্র জন্মসূত্রে বাংলাদেশী এবং উৎসাহিত ও সংগঠনের লক্ষ্য ও

উদ্দেশ্য,গঠনতন্ত্রের সাথে সমমনা কর্মীগণ এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে।

শুধুমাত্র স্বশিক্ষিত মার্জিত,নম্র-ভদ্র, সংগঠনের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে অবদান রাখতে পারে এমন ব্যক্তিকে তার সব বায়োডাটা ভ্যারিফাই করে নির্বাহী পরিষদ সন্তোষ্ট হলে আবেদনকারীকে সদস্যভুক্ত করা হবে।

যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অবশ্যই দুই-তৃত্বীয়াংশ সদস্যের উপস্তিতিতে ও সম্মতিক্রমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবে ।


সংগঠনের কল্যাণের উদ্দেশ্যে পরিচালনা পর্ষদ যে কোন  সৎ ও উন্নয়নমূলক তথা যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদসহ সদস্যের দুই-তৃত্বীয়াংশের উপস্তিতিতে ও সম্মতিতে পরিচালনা পর্ষদ উদ্দেশ্যের সংযোজন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা রাখবে।


প্রত্যেক সদস্যকে বাধ্যতামূলক প্রতি মাসে ১০০ (একশত) টাকা করে যুব উন্নয়ন তহবিলে মাসিক চাঁদা প্রদান  করবেন।

নির্বাহী পরিষদ সদস্যদের মাসিক চাঁদার পরিমাণ পরিবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করে।


সদস্য গ্রহণ পদ্ধতি 

যেকোন মার্জিত, নম্র-ভদ্র, শিক্ষিত ও সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন ব্যক্তি সেচ্ছাসেবী মনোভাব নিয়ে জনকল্যাণ ও যুব উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী কেউ আবেদন করলে, প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগ তা যথাযথ তদন্ত ও পর্যবেক্ষণ পূর্বক কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হলে আবেদন গ্রহণ করে সাধারণ পরিষদের সদস্যভুক্ত করা হবে।

সদস্যদের অধিকার ও সুবিধাসমূহ


ধারাঃ-৭

সদস্য পদ বাতিলের/স্থগিতের নিয়মাবলী

১. যদি কোন সদস্য স্বেচ্ছায় সঠিক ও উপযুক্ত কারণ দর্শানোপূর্বক লিখিত আকারে পদত্যাগ করেন।

২. যদি মানসিক ভারসাম্য হারান।

৩. যদি সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব আচার-আচরণ সংস্থার পরিপন্থী হয়।

৪. কোন সদস্য যদি সংগঠনের সাথে সম্পাদিত চুক্তি  ভঙ্গ করে তবে তার সদস্যপদ স্থগিত বা সদস্যচূত করা হবে। 

৫. মৃত্যু হলে বা মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটলে অথবা আর্থিক অসংগতি দেখা দিলে অথবা আদালত কর্তৃক দেশের অপরাধমূলক সাজা হলে।প্রাসঙ্গিক কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের প্রধান ব্যক্তিগণ সংরক্ষণ করেন।

৬. কোন মতবিনিময় সভায় একাধারে বিনা কারণে তিনবার অনুপস্থিত থাকলে এবং তা নোটিশের দ্বারা অবহিতকরণের পরও সাড়া না দিলে বা মিথ্যা অজুহাত দেখালে পরিচালনা পর্ষদের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দুই-তৃত্বীয়াংশ সদস্যের উপস্তিতিতে ‍উক্ত সদস্যের সদস্যপদ (যুক্তিসংগত কারণে) বহাল থাকবে কিংবা বাতিল করা হবে ।

৭. পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য দায়িত্ব পালনে অসমর্থ ও অযোগ্য বলে বিবেচিত হলে কিংবা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে পরিচালনা পর্ষদসহ সদস্যের দুই-তৃত্বীয়াংশের উপস্তিতিতে ও সম্মতিক্রমে ”পরিচালনা পর্ষদ” উক্ত সদস্যের রদবদল কিংবা পরিচালনা পর্ষদ হতে সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিতে বাধ্য থাকবে।

৮. . সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোন কারণে আন্তঃব্যক্তিক মনো-মালিণ্য ,সম্পর্কচ্ছেদ কিংবা সংঘাতে জড়িয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে সংগঠন হতে নিজের সদস্যপদের অব্যাহতি/সদস্যচ্যুত হতে চাইলে অথবা কোন অসৎ ও অসাধু উপায় অবলম্বন করে অকল্যাণকর,বিশৃঙ্খল,অপ্রত্যাশিত ও বিভ্রান্তিকর  পরিবেশ সৃষ্টি লক্ষ্যে সদস্যদের মধ্যে উষ্কানীমূলক কথাবার্তা ছড়ালে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সাপেক্ষে উক্ত সদস্যকে দাবিহীন সদস্যচ্যৃত করা হবে অর্থাৎ সংগঠন হতে নিজের কোন স্বার্থ দাবি করতে পারবে না।

৯.. সদস্য কোন অসামাজিক, অনৈতিক, অশুভ ইত্যাদি কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারবে না ।

১০. সদস্যদের মধ্যে একে অপরের প্রতি সম্মান, সহানুভূতি,সংহতি,একতা,সাম্যতা ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার বিপরীতে উদ্ধত্যপূর্ণ  আচরণ,বংশগত অপক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হুমকি,ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তিকর  পরিবেশ সৃষ্টি করলে বিনা নোটিশে উক্ত সদস্যকে দাবিহীন সদস্যচ্যৃত করা হবে অর্থাৎ সংগঠন হতে নিজের কোন স্বার্থ দাবি করতে পারবে না ।



ধারাঃ-৮

সাংগঠনিক কাঠামো

সংগঠনের দুই স্তর বিশিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নরুপঃ

ক) কার্যকরী পরিষদ

[কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামো: নির্বাহী/কার্যকরী পরিষদে প্রধান উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা স্থায়ী চার সদস্যসহ সর্বমোট ১৭ জন সদস্য নিয়ে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়েছে। ]


খ) সাধারণ পরিষদ (সদস্য) ( কার্যকরী পরিষদসহ মোট সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন)। 


কার্যকরী/ নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের কার্যভিত্তিক ( কার্য বিভাগ ভিত্তিক)  পদবিন্যাস:

১।  সভাপতি -১ জন 

২। প্রাইম কো-অর্ডিনেটর- ১ জন

৩। বিভাগীয় প্রধান, অর্থ বিভাগ- ১জন 

৪। বিভাগীয় প্রধান, প্রশাসনিক বিভাগ-  ১ জন

৫। বিভাগীয় সহ-প্রধান, প্রশাসনিক বিভাগ – ০ জন

৬। বিভাগীয় প্রধান, ব্লাড ডোনেশন বিভাগ- ১ জন

 ৭। বিভাগীয় প্রধান, মানবিক বিভাগ- ১ জন

৮। বিভাগীয় প্রধান, তথ্য ও গবেষণা বিভাগ- ১ জন

৯। যুব উন্নয়ন বিভাগ- ২ জন

১০। বিভাগীয় প্রধান, ন্যায়পাল বিভাগ- ১ জন

১১। বিভাগীয় প্রধান, সংস্কৃতি ও বিনোদন বিভাগ- ১ জন


১২। বিভাগীয় প্রধান, আইটি (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) বিভাগ- ১ জন 


১৩। বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষা বিভাগ-  ১ জন


১৪। বিভাগীয় প্রধান, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগ- ১ জন 

১৫। নারী উন্নয়ন বিভাগ-৩ জন


ধারাঃ-৯

কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব,কার্যাবলী এবং যোগ্যতা



সভাপতি

১। সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন।

২। সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

৩। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

৪। সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমোদিত হবে না।

৫। সভাপতি সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।

৬। সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যে কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।

৭। কোন সভায় যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভোট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভোট প্রদান করবেন।

৮। বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।

৯। নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের করণীয় ও কার্যাবলী নির্ধারণ করবেন।

১০। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের পরামর্শক্রমে ও  সহযোগিতায় সংগঠনের সংবিধান/সংঘস্মারক/স্মারকলিপি/গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জন এর ক্ষমতা বহন করেন।


বিভাগীয় প্রধান, প্রশাসনিক বিভাগ 

১। অফিস নির্বাহী হবেন ও থাকবেন। নির্বাহী পরিষদের নিকট সংগঠনের কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন।

২। সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।

৩। সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য/ সদস্যাদের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন।

৪। সংগঠনের সকল প্রকার চিঠিপত্র,কাগজপত্র, তথ্য ও দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।

৫। প্রশাসন ,প্রকল্প তৈরি,বাজেট তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সহযোগীতা করবেন।

৬। সুষ্ঠ প্রশাসন ব্যবস্থার স্বার্থে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাহী প্রধান( সভাপতি) এর পরামর্শক্রমে খন্ডকালীন কর্মচারী নিয়োগ,কর্মচুক্তি ও ছাটাইয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হবেন।তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

৭। সকল ধরণের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন।

৮। সংগঠনের সার্বিক সকল নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন। সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট ও বাজেট পেশ করবেন।

৯। সভাপতির সাথে আলোচনা করে সভা আহ্বানের দিন ,তারিখ,সময় ও স্থান নির্ধারণসহ আলোচ্যসূচী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।

১০। অর্থ সম্পাদক কর্তৃক মাসিক,ত্রৈমাসিক,বার্ষিক জমা খরচের হিসাব প্রস্তুত করিয়ে নিবেন এবং যথাযথ সভায় অনুমোদন ও পেশ করার ব্যবস্থা নিবেন।

১১। নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।

বিভাগীয় সহকারী প্রধান, প্রশাসনিক বিভাগ 

১। সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।

২। সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।

৩। সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।

৪। সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।

৫। সদস্যদের নিকট হতে জরুরী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করবেন (কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে )।




বিভাগীয় প্রধান, মানবিক ও স্বাস্থ্য বিভাগ 

১। মানবিক যে কোন কাজের জন্য বাজেট তৈরিকরণ ও সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা।

২। মানবিক পর্যায়ে বিভিন্ন উৎস খুঁজে বের করা। যেমন, গরিব, অসহায়, দুস্ত ও অনাথদের চাহিদা পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা ।

৩। মানবিক যেকোনো কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৪। চিকিৎসা কার্যক্রমঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়য়ের অনুমোদনক্রমে গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য হাসপাতাল ক্লিনিক স্থাপন করে চিকিৎসা প্রদানে অগ্রনী ভূমিকা পালন করা এবং কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনে প্রতিবছর অবৈতনিক ডাক্তার নিয়োগ করে গরীব ও অসহায় ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

৫। সর্বোপরি, জনকল্যাণমুখী  অন্যান্য সব দায়িত্ব পালন করবেন।

                                                 

প্রাইম কো-অর্ডিনেটর

১। সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

২। সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভায় সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন।

৩। সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যাসমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।

৪। সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।

৫। সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি সভাপতিকে অবগত করবেন।

৬। সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।

বিভাগীয় প্রধান, ত্রাণ ও দুর্যোগ পূনর্বাসন বিভাগ:

১। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য যেকোনো বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। উক্ত বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য জনগণের মধ্যে পূর্বপ্রস্তুতিমূলক জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৩। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যথাযথ ত্রাণ ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

৪।  প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত,দুর্ভিক্ষ, মহামারী ও ভূমিকম্প ও অন্যান্য আকস্মিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সহযোগিতা করা।

যুব উন্নয়ন বিভাগ

১। যুবক - যুবতীদের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২। যুব উন্নয়নে কার্যকরী জীবন দক্ষতার প্রশিক্ষণ

৩। আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।

৪। যুবক-যুবতীদের মধ্যে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা।

৫। যুব কর্ম ও যুবদের ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ। 

৬। যুব নেতৃত্ব বিকাশে তাৎপর্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 


বিভাগীয় সহ-প্রধান, যুব উন্নয়ন বিভাগ

১।  যুব উন্নয়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সর্বাত্মক সহযোগী হয়ে কাজ করা এবং প্রয়োজনীয় সুপরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান।


বিভাগীয় প্রধান, নারী উন্নয়ন বিভাগ

১। ঝড়ে পড়া ও অসহায় যুবতী নারীদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

২। তাদেরকে আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঠিকে থাকার দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৩। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সভায় প্রস্তাব পেশ করা।


বিভাগীয় প্রধান,  তথ্য ও গবেষণা বিভাগ

১। সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া তথ্য বিভাগের  কাজ।

২। সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।

৩। সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।

৪। প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।

৫। সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় সারা জেলাময় প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।

৬। বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারণার দায়িত্বও তার অধীনে।

৭। সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।


সহকারী- প্রধান, তথ্য ও গবেষণা  বিভাগ

১। সংগঠনের স্বার্থে প্রকাশনা তার দায়িত্বে থাকবে।

২। প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখার কাজে বিভাগীয় প্রধানকে সাহায্য করবেন।

৩। সংগঠনের পত্রিকা প্রকাশনার প্রধান দায়িত্ব তার নিকট ন্যস্ত।

৪।  সংগঠনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং সভাপতিকে জানাবেন।

৫।বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত গবেষণা করে আর্টিকেল তৈরি করবেন।


বিভাগীয় প্রধান, অর্থ বিভাগ

১। সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা বিভাগীয় প্রধান ( অর্থ বিভাগ) এর মূল কাজ।

২। সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে অনুদান গ্রহণ তার দায়িত্ব।

৩। তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন।

৪। বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট করবেন এবং অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সভায় পেশ করবেন।

৫। সংগঠনের সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬। সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।

৭। সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।


সহকারী/সহযোগী বিভাগীয় প্রধান , অর্থ বিভাগ

১। অর্থ সম্পাদকের অনুপস্থিতে যাবতীয় সকল দায়িত্ব পালন করা ।

২। অর্থ সম্পাদকের সকল কাজে সহযোগীতা করা।

বিভাগীয় প্রধান, ব্লাড ডোনেশন বিভাগ

১। জরুরি মুহূর্তে কোন মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে তার চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২। সংস্থা কর্তৃক সম্পাদিত ব্লাড গ্রুপিং টেস্ট এর তালিকা অনুযায়ী গ্রুপগুলো শ্রেণিবিন্যাস করা এবং তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা।

৩।  জরুরি মুহুর্তে রক্তের অনুসন্ধানী ব্যক্তিদের প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা করে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ করে জনকল্যাণে সংস্থার কাজকে ত্বরান্বিত করা।

৪। প্রতি তিন মাস পরপর বিভিন্ন স্থানে ব্লাড গ্রুপিং টেস্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। 


বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষা বিভাগ 

১। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।

২। শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন।

৩। স্কুল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং তা পরিচালনায় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।

৪। সংগঠনের কর্ম এলাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।

বিভাগীয় প্রধান, ন্যায়পাল বিভাগ

১। সংগঠনের আইনবিভাগ পরিচালনা করবেন।

২। সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৩। সংগঠন কোন সদস্য যদি সংবিধান বা নিয়মবহির্ভূত বহির্ভূত কাজ করে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করবেন এবং তা সভাপতিকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে পরামর্শদান।।

৪। সংস্থার সকল বিভাগের কার্যাবলী নিয়মতান্ত্রিকভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা এবং কোন কাজে অবহেলা, বিশৃঙ্খলা ও অসংগতি সৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন তৈরি করা। তবে, রিপোর্ট তৈরির সময় উক্ত বিষয়ে কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না বা সংঘাতে জড়ানো যাবে না। অন্যথায়, ন্যায়পাল বিভাগের মূল কর্মকাণ্ড লঙ্ঘিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। 

৫। সংস্থায় কোন অনিয়ম, দুর্নীতি পরিলক্ষিত হলে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংগঠনকারীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করে সভাপতির সাথে আলোচনাপূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিবেন। 


বিভাগীয় প্রধান, বিনিয়োগ বিভাগ

১। বিনিয়োগের লাভজনক উৎস খুঁজে বের করা ।

২। বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সভায় প্রস্তাব পেশ করা। 


বিভাগীয় প্রধান, আইটি বিভাগ, ( বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)

১। সংগঠনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

২। সংগঠনকে আরো বেশী প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ    ও নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।

৩। সংগঠনের কার্যক্রমকে ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত প্রচার করা ও আপডেট  করবেন ।

৪। সংগঠনের ওয়েবসাইটকে প্রতিনিয়ত ওয়েবে আপডেট করবেন।

৫। সংগঠনের সকল কার্যক্রমের ডিজিটাল কপি সংরক্ষন করবেন।

৬। বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আরো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।


বিভাগীয় প্রধান, সংস্কৃতি ও বিনোদন বিভাগ

১। বছরে একটি বনভোজন, ইফতার  পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা । 

২। তবে পারস্পরিক  পরিচিতি, সৌহার্দবোধ,বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই  এ বিভাগের প্রধান কাজ।


সাহিত্য ও গ্রনথাগার 


১। ম্যাগাজিন, লিফলেট, প্যাড ইত্যাদি প্রকাশ করা এবং গ্রন্থনা করা তার প্রধান কাজ।

২। বাংলা সাহিত্য উন্নয়নে করণীয় বিষয়াবলী সভায় তুলে ধরবেন।


সকল সদস্যদের জন্য নির্দেশনা


১। সাংগঠনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।

২। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা সদস্যদের প্রধান কাজ।

৩। যে কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে তার মতামত নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করতে পারবে।

৪। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে থাকা ও কাজ করা।

৫। মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সহায়তা করা। 


বিশেষ নির্দেশনা                             

১. সংগঠনের সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের নির্বাহী পরিষদসহ সবাই পাশে থাকার চেষ্টা করবে।

২. সংগঠনের সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।

৩. নির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।

৪. কোন অভিযোগ, কোন অনুযোগ, পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

৫. সকল সদস্যকে সময়মত মাসিক ফি প্রদান করতে হবে।

৬. সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা যাবে না,যা সংগঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।


ধারাঃ-১০

আর্থিক ব্যবস্থাপনা

১.সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বাংলাদেশি যেকোনো সিডিউল ব্যাংকে সংগঠনের নামে একটি চলতি/সেভিং হিসাব থাকা।

২.সংগঠনের সভাপতি ও অর্থ বিভাগীয় প্রধান এই দু’জনের যৌথ স্বাক্ষরে খোলা হবে।

৩.সদস্যরা সংগঠনের নামে সংগৃহীত অর্থ কোন অবস্থাতেই হাতে রাখা যাবেনা অর্থ প্রাপ্তির সাথে সাথে নগদ অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে।তবে সংগঠনের কাজে কিছু টাকা হাতে রাখা যাবে।

৪.দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য সভাপতি সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা মাত্র অনুমোদন করতে পারবেন।

৫.সাধারণ সম্পাদক এর যাবতীয় ছাপানোর রশিদ বহির মাধ্যমে সংগঠনের যাবতীয় চাদাঁ ও অন্যান্য আদায় করতে হবে ।

৬. আদায় কৃত চাঁদা বা অনুদান কোন সদস্য তিন দিনের বেশি নিজের নিকট রাখতে পারবে না

৭.কোন সদস্যের দ্বারা চাঁদা আদায়ের রশিদ হারানো গেলে ঐ রশিদ এর মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ তদন্ত সাপেক্ষে জমা করতে হবে।


ধারাঃ -১১

বর্ষ গগণা

প্রতি বছর ১ জানুয়ারি ৩১ ডিসেম্বের সংগঠনের বর্ষ গণনা করা হবে ।


ধারাঃ-১২

সংবিধান / গঠনতন্ত্র সংশোধন

সংগঠনের গঠনতন্ত্র যেকোনো বিষয়ের উপর সংশোধনের জন্য সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন নিতে হবে সদস্যের অনুমোদন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর কার্যকরী বলে বিবেচিত হবে।

ধারাঃ-১৩

সংগঠনের আয়

১. অত্র সংগঠনের সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য ফি এবং মাসিক ফি  ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুদান সংগঠনের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে। 

তবে শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থ এককালীন দান,অনুদান বা সাহায্যও তহবিলের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।

২.ব্যক্তি,দেশি-বিদেশি সংস্থাসমূহ,কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অনুদান।

৩.যে কোনো তফসিলী ব্যাংক বা ফাউন্ডেশন বা সরকারি অনুমোদিত কোন সংস্থা হতে ঋণ গ্রহণ করা যাবে।


ধারাঃ-১৪

সাধারণ সভার কার্যক্রম

১. নাম স্বাক্ষরের মাধ্যমে উপস্থিতি নিরূপণ করা

২.সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা

৩. আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সর্বপ্রকার রিপোর্ট পেশ।

৪.সংবিধান সংশোধন (যদি থাকে) ।

৫.মুলতবি প্রস্তাব/বিবিধঃ

৬. সভাপতি অনুপস্থিত থাকলে উপস্থিত সদস্যদের মাধ্যমে একজনকে সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করা যাবে।

ধারাঃ-১৫

সভার নিয়মাবলী

১.  সাধারণ সভা

ক) এক বছর পর পর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ দিনের নোটিশে এবং দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।

খ) সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট ও সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভা (পরীক্ষিত) হিসেবে অনুমোদন করবেন।


২. কার্যকরী পরিষদের সভা

কার্যকরী পরিষদের সভা মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে ৭ দিনের নোটিশে কার্যকরী পরিষদের সভা আহ্বান করতে পারবেন ।

৩. বিশেষ সাধারণ সভা

যেকোনো কারণে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা যাবে তবে এ সভায় বিশেষ এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।বিশেষ এজেন্ডায় বিষয় লিপিবদ্ধ করে ৩ দিনরে নোটিশ প্রদান করতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।

৪. জরুরী সভা

প্রতি মাসে ২ টা করে জরুরী সভার ব্যবস্থা করা।জরুরী সভার নোটিশ একদিন আগেই করার ব্যবস্থা করা। কার্যকরী পরিষদের সদস্য পরপর তিনটি সভায় কোন কারণ ব্যাতিরেকে উপস্থিত না হলে তাকে নিয়মিত নোটিশ প্রদান করা।

৫.তলবী সভা:

কমপক্ষে মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য বিশেষ সাধারণ সভা এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য করে স্বাক্ষর করে সভার আবেদন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারবেন।

সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আবেদন প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে সভা না করলে ২২ দিনে মধ্যে ১৫ দিনের নোটিশে সভা আহবান করতে পারবেন তবে সভা সংগঠনের অফিসে ডাকতে হবে দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।


৬. মুলতবি সভা:

ক) নির্ধারিত সময়ে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা বিলম্বে সভা করা যাবে।

খ) সাধারণ সভা কোরামের অভাবে স্থগিত করলে ৩০ দিনের মধ্যে স্থগিত সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সাধারণ সভা কোরাম না হলে যতজন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই সভা অনুষ্ঠিত ও তাদের মতামত বা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।


ধারাঃ-১৬

হিসাব সংরক্ষণ , নিরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রতিবেদন 

হিসাব পদ্ধতি:

সংগঠনের অর্থ বিভাগ ও প্রশাসনিক বিভাগের সমন্বয়ে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক আয়-ব্যয় সংক্রান্ত চূড়ান্ত হিসাব বিবরণী তৈরী ও সংরক্ষণ করবেন।

অডিট (নিরীক্ষা) পদ্ধতি ও প্রতিবেদন 

(১) সংগঠনের নির্বাহী প্রধান/ সভাপতি ও প্রাইম কো-অর্ডিনেটরের সমন্বিত একটি টিম অর্থ বিভাগ কর্তৃক রেকর্ডকৃত মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক আয়-ব্যয় সংক্রান্ত চূড়ান্ত হিসাব অডিট (নিরীক্ষা) করবেন।

(২) উল্লেখিত পদ্ধতিতে প্রতি বৎসর সংগঠনের হিসাব নিরীক্ষা করিতে হইবে এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করবে। 

(৩) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ যে কোন সময়ে সংগঠনের হিসাব ও নথিপত্র, নগদ অর্থ, অন্যান্য সম্পত্তি এবং তদসংক্রান্ত সকল দলিল পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবে।

ধারাঃ-১৭

অনুষ্ঠানাদি

সম্ভব হলে বছরে একটি বনভোজন, ইফতার পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে পারস্পরিক  পরিচিতি, সৌহার্দবোধ,বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।

সংগঠনের যেকোন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সফলভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে অর্থ বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ, ন্যায়পাল এবং সংস্কৃতি ও বিনোদন বিভাগের সমন্বিত টিম।

ধারাঃ-১৮

বিবিধ


নির্বাহী পরিষদের বিবেচনায় সংগঠনের কর্মকান্ড পরিচালনায় সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের জন্য কোন সদস্য/কর্মকর্তা দেওয়ানী/ফৌজদারী মোকদ্দমার সম্মুখীন হলে সংগঠন তাকে আর্থিক সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবে।

ধারাঃ-১৯

সদস্যদের নাম,পদবী ও সম্মতি প্রদানের স্বাক্ষর

আমি স্বজ্ঞানে, সুস্থ মানসে নিম্নোক্ত স্বাক্ষর প্রদানকারী সদস্য।এই মর্মে স্বীকৃতি   প্রদান করছি যে ,আমি

উক্ত সংবিধানকে সংগঠন জীবনে সকল যাবতীয় কাজে অনুসরন করব। সংগঠনের সংবিধান বহির্ভূত কোন কাজ করব না, অন্যথায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে কোন শাস্তি গ্রহন করতে বাধ্য থাকবো এবং আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে সদস্য পদ বহাল রাখবো । সংগঠনের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সুশৃঙ্খলা বজায় রাখবো। ইনশাআল্লাহ!

যোগদানের ক্রম অনুযায়ী কার্যকরী পরিষদের সদস্য তালিকা

ক্র.নং    


ধারাঃ-২০

সদস্য পরিচিতি

কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ( যোগদানের ক্রম অনুযায়ী)

উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য:

১। ইসহাক মিয়া

২। কায়সার মিয়া বাপ্পি

৩। রমিজ উদ্দিন

৪। সায়েদ হাসান হৃদয়

প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য:

১। জাকির হোসেন

২। নূরুল আবছার

৩। জিসান উদ্দিন

৪। মুহাম্মদ খালেক

৫। আবু তারেক

কার্যকরী পরিষদের অন্যান্য সদস্য

১। সাইদুল ইসলাম

২। নূরুল আমিন

৩। মুহাম্মদ ইউনুস

৪। দেলোয়ার হোসেন

৫। শিহাব আরফান






সংবিধান

  

           বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

 

 

 

 

 

 

                       সংবিধান

            (স্মারকলিপি/গঠনতন্ত্র)

 

 

 .  

 

                      

                                    unitycoordinatingcouncil.blogspot.com

   Fb Group: Unity Coordinating Council                

 

 

 

                          রচনা

                মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া

                                     

                        সম্পাদনা

                   ড. মুহাম্মদ ইউনুস             

                       রমিজ উদ্দিন     

                                  

                                    

                       ইলাস্ট্রেশন

                মুহাম্মদ শিহাব আরফান

                  কাইসার মিয়া বাপ্পি

                       সায়েদ হাসান 

 

 

                সার্বিক সহযোগীতায়

                                               

 মুহাম্মদ আবু তারেক          দেলোয়ার হোসেন 

                       

       

 

   Unity Coordinating Council.UCC 

            খুরুশকুল,কক্সবাজার সদর,

           কক্সবাজার-৪৭০০,বাংলাদেশ 

 Website: www.uccorg.blogspot.com

                            unitycoordinatingcouncil.blogspot.com

                                      

                     কর্তৃক প্রকাশিত

 

 

 

                         

 

        [প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত]

                       

                        প্রকাশকাল

          প্রথম প্রকাশ:    মে, ২০২১ ইং

 

        সার্বিক তত্ত্বাবধান : UCC কর্তৃপক্ষ

 

 

                        

 

                              সূচিপত্র

 

 

 

 

ধারা

                          বিষয়বস্তু / শিরোনাম

ধারাঃ-১

নামকরণ

ধারাঃ-২

কার্যালয়

ধারাঃ-৩

মনোগ্রাম/লগো

ধারাঃ-৪

সংগঠনের ধরণ

ধারাঃ-৫

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ধারাঃ-৬

সদস্য

ধারাঃ-৭

সদস্য পদ বাতিল / স্থগিতের নিয়মাবলী

ধারাঃ-৮

সাংগঠনিক কাঠামো

ধারাঃ-৯

কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব,কার্যাবলী এবং যোগ্যতা

ধারাঃ-১০

আর্থিক ব্যবস্থাপনা

ধারাঃ-১১

বর্ষ গননা

ধারাঃ-১২

সংবিধান / গঠনতন্ত্র সংশোধন

ধারাঃ-১৩

সংগঠনের আয়

ধারাঃ-১৪

সাধারণ সভার কার্যক্রম

ধারাঃ-১৫

সভার নিয়মাবলী

ধারাঃ-১৬

ব্যবসায়িক মুনাফা বন্টন পদ্ধতি

ধারাঃ-১৭

অনুষ্ঠানাদি

ধারাঃ-১৮

বিবিধ

ধারাঃ-১৯

সদস্যদের নাম ,পদবী, ও সম্মতি প্রদানের স্বাক্ষর

ধারাঃ-২০

সদস্য পরিচিতি

 

 

 

                                    

 

        

 

 

 

 

       ধারাঃ-১

       নামকরণ

এই সংগঠন ‘একতা সমন্বয় পরিষদ’- ইংরেজীতে ‘Unity Coordinating Council (UCC)’নামে    অভিহিত হবে। বার্তা -" মানুষ মানুষের জন্য "।

ধারাঃ-২
কার্যালয়

সংগঠনের কার্যালয় কক্সবাজারে যেকোনো জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপিত হবে। সংগঠনের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি সাপেক্ষে জেলা সদরের যে কোন সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

ধারাঃ-৩
মনোগ্রাম/লগো
সংগঠনের নিজস্ব মনোগ্রাম/লগো থাকবে।





 

 

 

ধারাঃ-৪

সংগঠনের ধরণ

UCC সম্পূর্ণ স্বাধীন,সামাজিক,অরাজনৈতিক,সেচছাসেবী ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন সংগঠন। এই সংগঠনের কোন অঙ্গসংগঠন থাকবে না বা এই সংগঠন অন্য কোন সংগঠনের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কাজ করবে না। সংগঠন বর্হিভূত কোন ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।


ধারাঃ- ৫

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

১. মহান আল্লাহ পাকের সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী পবিত্র আল কুরআনকে মূল সংবিধান হিসেবে গ্রহন করে যাবতীয় সকল কর্মকান্ডে অনুসরন করা এবং ইসলামিক জীবন বিধানকে সমস্ত মানবজাতির জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করা ।

২.  যাকাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূরীকরণ করা এবং নামাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবিক অনিশ্চিয়তা দূর করা।
৩.  প্রধানত সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
৪.  গরীব, অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করা।

৬.  প্রতি মাসে কমপক্ষে ১ বার বাধ্যতামূলক কুরআন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৭.  সাহিত্য,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিনোদন ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবে।
৮.  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করবে।

৯.  প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত,দুর্ভিক্ষ, মহামারী ও ভূমিকম্প ও অন্যান্য আকস্মিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সহযোগিতা করা।

১০. দুস্থ, অসহায়,এতিমদের সাহায্য প্রদান সর্বাত্মক তাদের পাশে এগিয়ে যাওয়া । ।

১১. দেশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনগণকে বিশেষত তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে।

১২. ইউসিসি এ অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের আর্থিক উন্নতির জন্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা সদস্যদের আর্থিক কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন যাতে মানবিক কাজে ব্যয় করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের যোগান দিতে পারে।

১৩. চিকিৎসা কার্যক্রমঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়য়ের অনুমোদনক্রমে গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য হাসপাতাল ক্লিনিক স্থাপন করে চিকিৎসা প্রদান করা এবং কার্যকরী পরিষদের অনুমোদনে প্রতিবছর অবৈতনিক ডাক্তার নিয়োগ করে গরীব ও অসহায় ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

১৪. পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষার্থে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

১৫.একতা , সাম্য ,চূড়ান্ত স্ববিশ্বাস ইত্যাদি সংগঠনের নীতি।
 
ধারাঃ-৬
সদস্য

 

v সংগঠনের সর্বমোট সদস্য সংখ্যা হবে ২০ জন।

 

v কেবল মাত্র জন্মসূত্রে বাংলাদেশী এবং উৎসাহিত ও সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য,গঠনতন্ত্রের সাথে সমমনা কর্মীগণ এ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে।

v শুধুমাত্র স্বশিক্ষিত মার্জিত,নম্র-ভদ্র, সংগঠনের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে অবদান রাখতে পারে এমন ব্যক্তিকে তার সব বায়োডাটা ভ্যারিফাই করে নির্বাহী পরিষদ সন্তোষ্ট হলে আবেদনকারীকে সদস্যভুক্ত করা হবে।


v যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অবশ্যই দুই-তৃত্বীয়াংশ সদস্যের উপস্তিতিতে ও সম্মতিক্রমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবে ।

 

v সংগঠনের কল্যাণের উদ্দেশ্যে পরিচালনা পর্ষদ যে কোন  সৎ ও উন্নয়নমূলক তথা যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদসহ সদস্যের দুই-তৃত্বীয়াংশের উপস্তিতিতে ও সম্মতিতে পরিচালনা পর্ষদ উদ্দেশ্যের সংযোজন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা রাখবে।

 

v প্রত্যেক সদস্যকে বাধ্যতামূলক প্রতি মাসে ৫০০ (পাঁচশত)টাকা হারে মাসিক ফি দিতে হবে।


v নির্বাহী পরিষদ সদস্যদের মাসিক ফি পরিবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ করে।




 

 

        ধারাঃ-৭

       সদস্য পদ বাতিলের/স্থগিতের নিয়মাবলী

১. যদি কোন সদস্য স্বেচ্ছায় সঠিক ও উপযুক্ত কারণ দর্শানোপূর্বক লিখিত আকারে পদত্যাগ করেন।
২. যদি মানসিক ভারসাম্য হারান।
৩. যদি সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব আচার-আচরণ সংস্থার পরিপন্থী হয়।
 
৪. মৃত্যু হলে বা মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটলে অথবা আর্থিক অসংগতি দেখা দিলে অথবা আদালত কর্তৃক দেশের অপরাধমূলক সাজা হলে।প্রাসঙ্গিক কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের প্রধান ব্যক্তিগণ সংরক্ষণ করেন।

 

৫. কোন মতবিনিময় সভায় একাধারে বিনা কারণে তিনবার অনুপস্থিত থাকলে এবং তা নোটিশের দ্বারা অবহিতকরণের পরও সাড়া না দিলে বা মিথ্যা অজুহাত দেখালে পরিচালনা পর্ষদের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দুই-তৃত্বীয়াংশ সদস্যের উপস্তিতিতে ‍উক্ত সদস্যের সদস্যপদ (যুক্তিসংগত কারণে) বহাল থাকবে কিংবা বাতিল করা হবে ।

 

৬. পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য দায়িত্ব পালনে অসমর্থ ও অযোগ্য বলে বিবেচিত হলে কিংবা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে পরিচালনা পর্ষদসহ সদস্যের দুই-তৃত্বীয়াংশের উপস্তিতিতে ও সম্মতিক্রমে ”পরিচালনা পর্ষদ” উক্ত সদস্যের রদবদল কিংবা পরিচালনা পর্ষদ হতে সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিতে বাধ্য থাকবে।

৭.  সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত চাঁদা / ফি একটানা তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বিনাকারণে পরিশোধ না করলে পরবর্তী মাসে একশত টাকা বিলম্ব ফি সহ বিলম্বের কারণ উল্লেখপূর্বক বিশেষ দরখাস্ত সহকারে বকেয়া পরিশোধ করতে হবে ।

৮. সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোন কারণে আন্তঃব্যক্তিক মনো-মালিণ্য ,সম্পর্কচ্ছেদ কিংবা সংঘাতে জড়িয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে সংগঠন হতে নিজের সদস্যপদের অব্যাহতি/সদস্যচ্যুত হতে চাইলে অথবা কোন অসৎ ও অসাধু উপায় অবলম্বন করে অকল্যাণকর,বিশৃঙ্খল,অপ্রত্যাশিত ও বিভ্রান্তিকর  পরিবেশ সৃষ্টি লক্ষ্যে সদস্যদের মধ্যে উষ্কানীমূলক কথাবার্তা ছড়ালে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সাপেক্ষে উক্ত সদস্যকে দাবিহীন সদস্যচ্যৃত করা হবে অর্থাৎ সংগঠন হতে নিজের কোন স্বার্থ দাবি করতে পারবে না।

৯. সদস্য কোন অসামাজিক, অনৈতিক, অশুভ ইত্যাদি কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারবে না ।

১০. সদস্যদের মধ্যে একে অপরের প্রতি সম্মান, সহানুভূতি,সংহতি,একতা,সাম্যতা ও সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার বিপরীতে উদ্ধত্যপূর্ণ  আচরণ,বংশগত অপক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হুমকি,ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তিকর  পরিবেশ সৃষ্টি করলে বিনা নোটিশে উক্ত সদস্যকে দাবিহীন সদস্যচ্যৃত করা হবে অর্থাৎ সংগঠন হতে নিজের কোন স্বার্থ দাবি করতে পারবে না ।

১১. সংগঠনের গোপনীয়তা অবশ্যই রক্ষা করতে হব।


ধারাঃ-৮

সাংগঠনিক কাঠামো

সংগঠনের দুই স্তর বিশিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নরুপঃ
ক) কার্যকরী পরিষদ
[কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামো (কার্যকরী পরিষদে প্রধান উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা স্থায়ী চার সদস্যসহ সর্বমোট ১৮ জন সদস্য নিয়ে কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়েছে। ]

খ) সদস্য ( কার্যকরী পরিষদসহ মোট সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন)। 

১। সভাপতি ১
২। সহ-সভাপতি ১জন
 
৩। সাধারণ সম্পাদক ১ জন

৪। সহ-সাধারণ সম্পাদক ১ জন

৫। সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
৬। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন

৭। অর্থ সম্পাদক ১ জন

৮। সহযোগী অর্থ সম্পাদক ১ জন

৯। সহকারী অর্থ সম্পাদক ১ জন
১০। প্রচার সম্পাদক ২ জন
১১। প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১২। দপ্তর সম্পাদক ১ জন
 

১৩। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ১ জন

১৪। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
 

১৫। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৬। আইন বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৭। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১ জন

১৮। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ১ জন
১৯। সাহিত্য ও গ্রনথাগার বিষয়ক সম্পাদক ১ জন




 

ধারাঃ-৯

       কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব,কার্যাবলী এবং যোগ্যতা

সভাপতি
১। সংগঠনের প্রধান হিসেবে বিবেচিত হবেন।

২। সংগঠনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৩। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
৪। সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কোন প্রস্তাবই অনুমোদিত হবে না।
৫। সভাপতি সভা পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।
৬। সংগঠনের স্বার্থে ও কল্যাণে যে কোন প্রকার দায়িত্ব পালন করবেন।
৭। কোন সভায় যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম-সংখ্যক ভোট পরলে সভাপতি একটি কাষ্টিং ভোট প্রদান করবেন।
৮। বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বান করবেন।
৯। নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের করণীয় ও কার্যাবলী নির্ধারণ করবেন।
১০। উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শক্রমে ও সহ-সভাপতিদের সহযোগিতায় সংগঠনের সংবিধান/সংঘস্মারক/স্মারকলিপি/গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জন এর ক্ষমতা বহন করেন।

সহ-সভাপতি
১। সংগঠনের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
২। সভাপতির সকল কাজে সহযোগিতা করবেন।
৩। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
৪।
 সংগঠনের উপ-নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
৫। সভাপতির মতই গঠনতন্ত্র অনুসারে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।

৬। সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন,পরিবর্তন ও পরিমার্জনে সহায়তা করবেন।

                                                              

সাধারণ সম্পাদক

১। অফিস নির্বাহী হবেন ও থাকবেন। নির্বাহী পরিষদের নিকট সংগঠনের কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবেন।
২। সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠি লেখা ও চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে তিনি স্বাক্ষর প্রদান করবেন।
৩। সংগঠনের কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়ন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য/ সদস্যাদের সাথে সমন্বয় সাধন করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার চিঠিপত্র,কাগজপত্র, তথ্য ও দলিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
৫। প্রশাসন ,প্রকল্প তৈরি,বাজেট তৈরির কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সহযোগীতা করবেন।
৬। সুষ্ঠু প্রশাসন ব্যবস্থার স্বার্থে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খন্ডকালীন কর্মচারী নিয়োগ,কর্মচুক্তি ও ছাটাইয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হবেন।তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৭। সকল ধরণের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন।
৮। সংগঠনের সার্বিক সকল নির্বাহী ও সাধারণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন। সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট ও বাজেট পেশ করবেন।
৯। সভাপতির সাথে আলোচনা করে সভা আহ্বানের দিন ,তারিখ,সময় ও স্থান নির্ধারণসহ আলোচ্যসূচী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
১০। অর্থ সম্পাদক কর্তৃক মাসিক,ত্রৈমাসিক,বার্ষিক জমা খরচের হিসাব প্রস্তুত করিয়ে নিবেন এবং যথাযথ সভায় অনুমোদন ও পেশ করার ব্যবস্থা নিবেন।
১১। নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।


সহ-সাধারণ সম্পাদক

১। সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা প্রদান করবেন।
২। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
৩। নির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।
                                                 
সাংগঠনিক সম্পাদক

১। সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
২। সংগঠনের কার্যক্রমে স্থীরতা প্রকাশ পেলে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূরীকরণের জন্য সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনাপূর্বক করণীয় নির্ধারণ করবেন।
৩। সংগঠনের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি বা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজ নির্ণয় এবং সমস্যাসমূহ দেখে সংগঠনের স্বার্থে সবাইকে তা অবহিত করবেন।
৪। সাংগঠনিক সম্পাদক সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
৫। সংগঠন কোন হুমকির শিকার হলে সেটি সভাপতিকে অবগত করবেন।
৬। সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং ব্যাপ্তি ঘটানোর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করাই তার প্রধান কাজ।

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
১। সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করাই সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজ।
২। সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রচার সম্পাদক

১। সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।
২। সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।
৩। সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
৪। প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
৫। সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় সারা জেলাময় প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।
৬। বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারণার দায়িত্বও তার অধীনে।
৭। সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।
                                                

অর্থ সম্পাদক

১। সংগঠনের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব রাখা,সংগৃহীত অর্থ যাতে সংগঠনের স্বার্থে ব্যয় হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা অর্থ সম্পাদকের মূল কাজ।
২। সংগঠনের সদস্যদের হতে মাসিক ফি সংগ্রহ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ হতে অনুদান গ্রহণ তার দায়িত্ব।
৩। তিনি সংগঠনের অর্থের ভবিষ্যৎ উৎস চিহ্নিত করে নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করবেন।
৪। বার্ষিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট করবেন এবং অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সভায় পেশ করবেন।
৫। সংগঠনের সকল প্রকার আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
৬। সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
৭। সংগঠনের জমা খরচের হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যাপারে অর্থ সম্পাদক সাধারণভাবে দায়ী থাকবেন।

সহকারী/সহযোগী অর্থ সম্পাদক

১। অর্থ সম্পাদকের অনুপস্থিতে যাবতীয় সকল দায়িত্ব পালন করা ।

২। অর্থ সম্পাদকের সকল কাজে সহযোগীতা করা।

প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
১। সংগঠনের স্বার্থে প্রকাশনা তার দায়িত্বে থাকবে।
২। প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখার কাজে প্রচার সম্পাদককে সাহায্য করবেন।
৩। সংগঠনের পত্রিকা প্রকাশনার প্রধান দায়িত্ব তার নিকট ন্যস্ত।

দপ্তর সম্পাদক
১। সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।
২। সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।

৩। সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে      তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।
৪। সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।
৫। সদস্যদের নিকট হতে জরুরী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করবেন (কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে )।

সমাজ কল্যাণ সম্পাদক

১। মানুষের সাথে পরিচিতি বাড়াবেন।
২। সমাজের নানা অসঙ্গতি সংগঠনের সভায় তুলে ধরবেন।
৩। সমাজের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যনির্বাহী পরিষদকে সহায়তা করবেন।

শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক

১। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোন কাজে পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।

২। শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা পালন করবেন।

আইন বিষয়ক সম্পাদক

১। সংগঠনের আইনবিভাগ পরিচালনা করবেন।
২। সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। সংগঠন কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পেলে তা সভাপতিকে অবহিত করবেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক

১। সংগঠনের কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
২। সংগঠনকে আরো বেশী প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।
৩। সংগঠনের কার্যক্রমকে ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত প্রচার করা ও আপডেট করবেন ।

৪। সংগঠনের ওয়েবসাইটকে প্রতিনিয়ত ওয়েবে আপডেট করবেন।
৫। সংগঠনের সকল কার্যক্রমের ডিজিটাল কপি সংরক্ষন করবেন।
৬। বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে আরো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক

১। ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
২। ধর্মীয় সংহতি বজায় রাখতে যেকোনো পরামর্শ সভায় পেশ করবেন।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক

১। সংগঠনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে জানাবেন।
২। বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত গবেষণা করে আর্টিকেল তৈরি করবেন।

সাহিত্য ও গ্রনথাগার বিষয়ক সম্পাদক

১। ম্যাগাজিন, লিফলেট, প্যাড ইত্যাদি প্রকাশ করা এবং গ্রন্থনা করা তার প্রধান কাজ।
২। বাংলা সাহিত্য উন্নয়নে করণীয় বিষয়াবলী সভায় তুলে ধরবেন।

সকল সদস্যদের জন্য নির্দেশনা

১। সাংগঠনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
২। কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা সদস্যদের প্রধান কাজ।
৩। যে কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে তার মতামত নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করতে পারবে।
৪। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে থাকা ও কাজ করা।
৫। মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সহায়তা করা। 
অন্যান্য
                                                  
১. সংগঠনের সকল সদস্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের নির্বাহী পরিষদসহ সবাই পাশে থাকার চেষ্টা করবে।
২. সংগঠনের সকল সদস্য সংগঠনের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
৩. নির্বাহী পরিষদসহ সকল সদস্যের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে।
৪. কোন অভিযোগ, কোন অনুযোগ, পরামর্শের জন্য নির্বাহী পরিষদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৫. সকল সদস্যকে সময়মত মাসিক ফি প্রদান করতে হবে।
৬. সদস্যদের মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকা যাবে না,যা সংগঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

 

 

ধারাঃ-১০

আর্থিক ব্যবস্থাপনা

 

১.সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বাংলাদেশি যেকোনো সিডিউল ব্যাংকে সংগঠনের নামে একটি চলতি/সেভিং হিসাব খুলতে হবে।

.সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক এই তিনজনের যৌথ স্বাক্ষরে খোলা হবে।

.সদস্যরা সংগঠনের নামে সংগৃহীত অর্থ কোন অবস্থাতেই হাতে রাখা যাবেনা অর্থ প্রাপ্তির সাথে সাথে নগদ অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে।তবে সংগঠনের কাজে কিছু টাকা হাতে রাখা যাবে।

৪.দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা মাত্র অনুমোদন করতে পারবেন।

৫.সাধারণ সম্পাদক এর যাবতীয় ছাপানোর রশিদ বহির মাধ্যমে সংগঠনের যাবতীয় চাদাঁ ও অন্যান্য আদায় করতে হবে 

৬. আদায় কৃত চাঁদা বা অনুদান কোন সদস্য তিন দিনের বেশি নিজের নিকট রাখতে পারবে না

৭.কোন সদস্যের দ্বারা চাঁদা আদায়ের রশিদ হারানো গেলে ঐ রশিদ এর মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ তদন্ত সাপেক্ষে জমা করতে হবে।

                                                            

ধারাঃ -১১

বর্ষ গগণা

প্রতি বছর ১ জানুয়ারি ৩১ ডিসেম্বের সংগঠনের বর্ষ গণনা করা হবে 

 

ধারাঃ-১২

সংবিধান / গঠনতন্ত্র সংশোধন

সংগঠনের গঠনতন্ত্র যেকোনো বিষয়ের উপর সংশোধনের জন্য সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন নিতে হবে সদস্যের অনুমোদন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর কার্যকরী বলে বিবেচিত হবে।

 

ধারাঃ-১৩

সংগঠনের আয়

১. অত্র সংগঠনের সদস্যদের প্রাথমিক সদস্য ফি এবং মাসিক ফি সংগঠনের তহবিলের প্রধান উৎস হিসেবে গণ্য হবে। তবে শুভাকাংখীদের নিঃস্বার্থ এককালীন দান,অনুদান বা সাহায্যও তহবিলের উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।

২.ব্যক্তি,দেশি-বিদেশি সংস্থাসমূহ,কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অনুদান।

৩.যে কোনো তফসিলী ব্যাংক বা ফাউন্ডেশন বা সরকারি অনুমোদিত কোন সংস্থা হতে ঋণ গ্রহণ করা যাবে।

.সংগঠন পরিচালিত ব্যবসায়িক প্রকল্প কিংবা ব্যবসা থেকে আয়।


     
 ধারাঃ-১৪

        সাধারণ সভার কার্যক্রম

   ১. নাম স্বাক্ষরের মাধ্যমে উপস্থিতি নিরূপণ করা

         ২.সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা

         ৩. আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সর্বপ্রকার রিপোর্ট পেশ।

         ৪.সংবিধান সংশোধন (যদি থাকে) ।

   ৫.মুলতবি প্রস্তাব/বিবিধঃ

৬. সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকলে উপস্থিত সদস্যদের মাধ্যমে একজনকে সভাপতির    দায়িত্ব অর্পণ করা যাবে।

 

 

ধারাঃ-১৫

         সভার নিয়মাবলী

          ১.  সাধারণ সভা

ক) এক বছর পর পর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ দিনের নোটিশে এবং দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।

খ) সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট ও সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভা (পরীক্ষিত) হিসেবে অনুমোদন করবেন।

 

২. কার্যকরী পরিষদের সভা

কার্যকরী পরিষদের সভা মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে ৭ দিনের নোটিশে কার্যকরী পরিষদের সভা আহ্বান করতে পারবেন 

বিশেষ সাধারণ সভা

যেকোনো কারণে বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা যাবে তবে এ সভায় বিশেষ এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।বিশেষ এজেন্ডায় বিষয় লিপিবদ্ধ করে ৩ দিনরে নোটিশ প্রদান করতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।

৪. জরুরী সভা

প্রতি মাসে ২ টা করে জরুরী সভার ব্যবস্থা করা।জরুরী সভার নোটিশ একদিন আগেই করার ব্যবস্থা করা।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পরপর তিনটি সভায় কোন কারণ ব্যাতিরেকে উপস্থিত না হলে তাকে নিয়মিত নোটিশ প্রদান করা।

 

                                                             

      

           ৫.তলবী সভা

কমপক্ষে মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য বিশেষ সাধারণ সভা এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য করে স্বাক্ষর করে সভার আবেদন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারবেন।

সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আবেদন প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে সভা না করলে ২২ দিনে মধ্যে ১৫ দিনের নোটিশে সভা আহবান করতে পারবেন তবে সভা সংগঠনের অফিসে ডাকতে হবে দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩ অংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।

 

 

 

৬. মুলতবি সভা

ক) নির্ধারিত সময়ে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা বিলম্বে সভা করা যাবে।

খ) সাধারণ সভা কোরামের অভাবে স্থগিত করলে ৩০ দিনের মধ্যে স্থগিত সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সাধারণ সভা কোরাম না হলে যতজন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই সভা অনুষ্ঠিত ও তাদের মতামত বা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

 

ধারাঃ-১৬

         ব্যবসায়িক মুনাফা বন্টন

সংগঠনের ব্যবসায়িক প্রকল্প/কর্মকান্ড হতে অর্জিত মুনাফার ৭০% সংরক্ষিত তহবিলে জমা থাকবে,যত       দিন না সংগঠন তহবিল আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। অবশিষ্ঠ অংশের ১৫% মুনাফা দুস্থ ,দরিদ্র, সামাজিক ও মানবিক তহবিলে, ১০% মুনাফা রিলিজিয়াস/ধর্মীয় তহবিলে এবং ৫% মুনাফা সংগঠনের অফিস ও প্রশাসনিক ব্যয় তহবিলে বন্টন হবে।

সংগঠন তহবিল আর্থিকভাবে অগ্রগতি লাভের পর ৭০% মুনাফার মধ্য থেকে ২০% মুনাফা সংরক্ষিত তহবিলে জমা হবে। অবশিষ্ঠ ৫০% মুনাফা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে সমহারে বা বিনিয়োগকৃত মূলধন অনুসারে বন্টন হবে।

          ধারাঃ-১৭

         অনুষ্ঠানাদি 

         সম্ভব হলে বছরে একটি বনভোজন, ইফতার       পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে পারস্পরিক           পরিচিতি, সৌহার্দবোধ,বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টিই অনুষ্ঠানাদির মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হবে।
                                              

ধারাঃ-১৮

বিবিধ

নির্বাহী পরিষদের বিবেচনায় সংগঠনের কর্মকান্ড পরিচালনায় সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের জন্য কোন সদস্য/কর্মকর্তা দেওয়ানী/ফৌজদারী মোকদ্দমার সম্মুখীন হলে সংগঠন তাকে আর্থিক সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবে।

         ধারাঃ-১৯

         সদস্যদের নাম,পদবী ও সম্মতি প্রদানের স্বাক্ষর

         আমি স্বজ্ঞানে, সুস্থ মানসে নিম্নোক্ত স্বাক্ষর প্রদানকারী সদস্য।এই মর্মে স্বীকৃতি প্রদান করছি যে ,আমি 

উক্ত সংবিধানকে সংগঠন জীবনে সকল যাবতীয় কাজে অনুসরন করব। সংগঠনের সংবিধান বহির্ভূত কোন কাজ করব না, অন্যথায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে কোন শাস্তি গ্রহন করতে বাধ্য থাকবো এবং আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে সদস্য পদ বহাল রাখবো । সংগঠনের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সুশৃঙ্খলা বজায় রাখবো। ইনশাআল্লাহ!    

ক্র.নং

                নাম

              পদবী

        স্বাক্ষর

মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া

সভাপতি

নূরুল আবছার

সহ-সভাপতি


সাধারণ সম্পাদক


সহ-সাধারণ সম্পাদক

রমিজ মিয়া

সাংগঠনিক সম্পাদক

আবু তারেক

সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক

কাইসার মিয়া বাপ্পি

অর্থ সম্পাদক

সায়েদ হাসান হৃদয়

সহকারী-অর্থ সম্পাদক


সহযোগী অর্থ সম্পাদক

১০

মুহাম্মদ জিসান

দপ্তর সম্পাদক

১১



১২

মু.ইউনুস ভাই 

প্রাইম কো-অর্ডিনেটর 

 

১৩

দেলোয়ার হোসাইন  

 

 

১৪

হা.মু.কাইসার হামিদ রুবেল  

 

 

১৫

 

 

 

১৬

 

 

 

১৭

 

 

 

১৮

 

 

 

১৯

 

 

 

২০

 

 

 

                                                           www.uccorg.blogspot.com

           

      ধারাঃ-২০  

     সদস্য পরিচিতি


    কাইসার মিয়া বাপ্পি  

   
    
নূরুল আবছার 


 
                      
    রমিজ মিয়া                


  


                                


                                        

 সায়েদ হাসান হৃদয়


 

 মুহাম্মদ জিসান   


 

 আব তারেক         



মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া

Rescue and Relief activities for devastating flood affected areas

Rescue and Relief activities for devastating flood affected areas : Report submitted to USAID BIJOYEE PROJECT  Download  File